ফিওদর মিখাইলভি দস্তইয়েস্কি জন্মেছিলেন মস্কোয় ১৮২২ সালে। তখন রাজধানী ছিল সাংকৎ পিতেবুর্গ, ইংরেজিতে যে-শহরকে আমরা জানি সেন্ট পিটার্সবার্গ নামে। বাবা ছিলেন ডাক্তার । দস্তইয়েফস্কি জীবনভর দুটি রােগে ভুগেছেন একটি দৈহিক, অন্যটি মানসিক । দেহের অসুখ হল তাঁর মৃগীরােগ, আর মানসিক ব্যাধি-জুয়াের নেশা। প্রসঙ্গত, জুয়ােখেলা জার আমলের রাশিয়াতে এত ব্যাপক ছিল যে তাকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে গণ্য করা চলে। লেখাপড়া করেছিলেন সাংকৎ পির্বুের্গের প্রকৌশল বিদ্যালয়ে। জার-বিরােধী এক গুপ্ত রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়ার কারণে প্রথমে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি হলেও পরে তা মওকুফ করে সাইবেরিয়ায় চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডের হুক� ...
বিস্তারিত দেখুন
ফিওদর মিখাইলভি দস্তইয়েস্কি জন্মেছিলেন মস্কোয় ১৮২২ সালে। তখন রাজধানী ছিল সাংকৎ পিতেবুর্গ, ইংরেজিতে যে-শহরকে আমরা জানি সেন্ট পিটার্সবার্গ নামে। বাবা ছিলেন ডাক্তার । দস্তইয়েফস্কি জীবনভর দুটি রােগে ভুগেছেন একটি দৈহিক, অন্যটি মানসিক । দেহের অসুখ হল তাঁর মৃগীরােগ, আর মানসিক ব্যাধি-জুয়াের নেশা। প্রসঙ্গত, জুয়ােখেলা জার আমলের রাশিয়াতে এত ব্যাপক ছিল যে তাকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে গণ্য করা চলে। লেখাপড়া করেছিলেন সাংকৎ পির্বুের্গের প্রকৌশল বিদ্যালয়ে। জার-বিরােধী এক গুপ্ত রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়ার কারণে প্রথমে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি হলেও পরে তা মওকুফ করে সাইবেরিয়ায় চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডের হুকুম আসে।
তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘গরিবগুর্বো মানুষ’ ১৮৪৬ সালে প্রকাশিত হলে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান। ‘সময় এবং ‘যুগ' নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন, কিন্তু অর্থাভাবে বেশি দিন চালাতে পারেননি। ‘জুয়াড়ি’, ‘ইডিয়ট’, ‘লাঞ্ছিত নিপীড়িত’, ‘কারামাজভ ভাইয়েরা এবং অপরাধ ও শাস্তি’ তার সর্বাধিক খ্যাত উপন্যাসগুলাের অন্যতম। ভূতলবাসীর আত্মকথা’ তার আর-এক ঘুম-কেড়ে-নেওয়া রচনা। তস্তোয়কে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল দস্তইয়েফস্কির কোন রচনা তাঁর সবচেয়ে প্রিয়, তিনি। বলেছিলেন ‘মৃতের শহর’—আরেকটি উপন্যাস। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে মস্কোয় কবি আলেক্সান্দর পুশকিন্-এর ভাস্কর্যমূর্তি উদ্বোধনকালে তাঁর বক্তৃতা রুশ সামাজিক ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
মৃত্যু রােগভােগে, ১৮৮১ সালে ।