স্বশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিবাদী এই অভিধাগুলাে যথার্থভাবে যার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য তিনি দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর। ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ জন্ম গ্রহণের পর হতে নিরন্তর সংগ্রাম, সংঘাত ও প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে আপন জীবনাভিজ্ঞতায় পরিচ্ছন্নবােধ অর্জন করেছিলেন। কৃষিকাজ ও আমিন পেশায় রত থেকেও এই অগ্রগামী মহাপুরুষ অবিচল আস্থায় সংস্কার ও অন্ধ আবেগের পশ্চাৎমুখীতাকে ক্রমাগত শনাক্ত করেছেন। ফলে তার ওপর পাকিস্তানি শাসনামলে গ্রেপ্তারি, মামলা ও মতপ্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরােপিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশেও মৌলবাদীসহ সমাজের বিভিন্ন মহল কর্তৃক নিগৃহীত হতে হয়েছে তাকে। সংস্কারবিমুখ মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য পাঠাগার স্থাপন, মানবকল্যাণে চ� ...
বিস্তারিত দেখুন
স্বশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিবাদী এই অভিধাগুলাে যথার্থভাবে যার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য তিনি দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর। ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ জন্ম গ্রহণের পর হতে নিরন্তর সংগ্রাম, সংঘাত ও প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে আপন জীবনাভিজ্ঞতায় পরিচ্ছন্নবােধ অর্জন করেছিলেন। কৃষিকাজ ও আমিন পেশায় রত থেকেও এই অগ্রগামী মহাপুরুষ অবিচল আস্থায় সংস্কার ও অন্ধ আবেগের পশ্চাৎমুখীতাকে ক্রমাগত শনাক্ত করেছেন। ফলে তার ওপর পাকিস্তানি শাসনামলে গ্রেপ্তারি, মামলা ও মতপ্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরােপিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশেও মৌলবাদীসহ সমাজের বিভিন্ন মহল কর্তৃক নিগৃহীত হতে হয়েছে তাকে। সংস্কারবিমুখ মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য পাঠাগার স্থাপন, মানবকল্যাণে চক্ষু ও শরীর দান এবং দর্শন, ইতিহাস, বিজ্ঞান, গণিত, কবিতা ও আত্মজীবনীসহ মােট ১৮টি পাণ্ডুলিপি রচনা ইত্যাদি অবদানে মানবমণ্ডলীকে ঋণী করে গেছেন তিনি। ৭ কন্যা ও ৩ পুত্রের জনক এই মহতী ব্যক্তিত্বের মৃত্যু ঘটে ১ চৈত্র ১৩৯২ বঙ্গাব্দে।