আনােয়ারা সৈয়দ হক একটি নাম যা আজ বহু বছর ধরে সাহিত্যের অঙ্গনে বড় আস্থার সাথে প্রতিষ্ঠিত। তিনি একাধারে কথাসাহিত্যিক, কবি, গল্পকার, প্রবন্ধ লেখক, শিশুতােষ রচয়িতা ও ছড়াকার এবং এই মুহূর্ত পর্যন্ত তার কলম চলমান। তিনি কবি সব্যসাচীর জীবনসঙ্গীনি হওয়া সত্ত্বেও নিজের স্বকীয়তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। বিরাট মহিরুহের পাদদেশে অবস্থান করেও নিজের সাহিত্যকে তার আগ্রাসী প্রভাব থেকে আলাদা রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এ বড় দুরূহ কাজ! এবং বড় ঝুঁকির। আনােয়ারা সৈয়দ হক-এর সাহিত্য ভাষা ভিন্ন, জীবন দেখার ভঙ্গিমা ভিন্ন, জীবনের অভিজ্ঞতাও সম্পূর্ণভাবে আর দশটা মানুষের চেয়ে ভিন্ন। এই ভিন্ন তাই তাঁকে গড়পড়তা হিসাব থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। পেশাগত জীবনে একটি ভীষণ দায়িত্বশীল কাজ করার পরেও সাহিত্য জীবনকে এক ফোটাও ছাড় দেননি। এতে পরিশ্রম হয়েছে সত্যি, তবে প্রাপ্তিও কম হয়নি।
নিচে তার কয়েকটি বইয়ের তালিকা দেওয়া হলাে
উপন্যাস : তৃষিতা, সােনার হরিণ, হাতছানি, আবেদ হােসেনের জোছনা দেখা, জলনুড়ি, উদয় মিনাকে চায়, অস্থিরতার কাল, ভালােবাসার সময়, ঘুমন্ত খেলােয়াড়, নিঃশব্দতার ভাঙচুর, সেই প্রেম সেই সময়, দুই রমণী, কার্নিশে ঝুলন্ত গােলাপ, সন্দেহ, নখ, আহত জীবন, রুপালি স্রোত, ঘুম, আকাশ ভরা, খাদ, সেইসব দিন, গুজরিপঞ্চম ইত্যাদি।
কবিতার বই : মেয়ে হয়েছি বেশ করেছি, কিছু কি পুড়ে যাচ্ছে। কোথাও, আমার শয্যায় এক বালিশ সতীন, তুমি এক অলৌকিক বাড়িঅলা, তুমি আগে যাবে, না আমি; কাল খুব কষ্টে ছিলাম ইত্যাদি।
জীবনীগ্রন্থ : রবীন্দ্রনাথ ও বিজয়া, ল্য সালােমে, পিকাসাের নারীরা। নিবন্ধ : যেমন আমাদের জীবন, সর্পরাজের জাদু, নারীর কোনাে কথা নাই, নারীর কিছু কথা আছে, আনােয়ারা সৈয়দ হক কলাম ১ কলাম ২, পথ চলি কথা বলি।
আত্মজীবনী : নরক ও ফুলের কাহিনী, অবরুদ্ধ, বিক্ষুব্ধ সংলাপ, আমার স্কুল।
ভ্রমণ : উড়ে যাই দূরে যাই, যােজন দূরের স্বজনেরা।
সখ : ভ্রমণ।
সংসার : প্রিয়তম স্বামী : সৈয়দ শামসুল হক, প্রিয় সন্তানেরা : বিদিতা সৈয়দ হক, দ্বিতীয় সৈয়দ হক প্রিয় ; দৌহিত্রি : লামিয়া সৈয়দ হক, প্রিয় প্রােপৌত্র : এজরা সৈয়দ হক।